গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। অভিযানে ৫০ জন রোগীর জন্য কাগজে-কলমে আনা হয় ৪০টি ডিম কিন্তু গুণে পাওয়া যায় ৩৪টি ডিম। ওষুধ বিতরণে অনিয়মসহ বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা এ অভিযানে হাসপাতালের বিভিন্ন অসঙ্গতি ও অনিয়ম পায় দুদকের গাজীপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এনামুল হাসানের নেতৃত্বে একটি দল।
গাজীপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এনামুল হাসান বলেন, দুদকের হট লাইনে প্রাপ্ত অভিযোগে ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকগণ অনুপস্থিত থাকেন, পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন, সেবার মান অনেক নি¤œ, ঔষধ বিতরণে সমস্যা, রোগীদের ঔষধ হাসপাতাল থেকে না দিয়ে বাহির থেকে কেনায়, খাবারের মান নিম্ন, রোগীদের যেপরিমাণ খাবার দেয়ার কথা সে পরিমাণ দেয়া হচ্ছে নাসহ আরো কিছু অনিয়মের প্রেক্ষিত্রে আরো কিছু অভিযোগ আসে।
তিনি আরো বলেন, প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদনের প্রেক্ষিত্রে আমরা বুধবার সকালে গাজীপুর থেকে দুদকের একটি টিম আমরা শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোর, রান্নাঘর ও জরুরী বিভাগে পর্যবেক্ষণ করি। পর্যবেক্ষণে বেশ কিছু অনিয়ম ধরা পড়ে। হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া ৫০ জন রোগীর জন্য মাছ প্রয়োজন ৮ কেজি ২০০ গ্রাম, সেখানে মাছ রয়েছে মাত্র ৫ কেজি, দেড় কেজি ডাল থাকার কথা থাকলেও দেয়া হয়েছে মাত্র ৫০০ গ্রাম, দেড় লিটার তেল দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয়েছে মাত্র ৫০০ গ্রাম, ডিম ৫০ জন রোগীর জন্য দেয়ার ৫০টি লাগবে, কিন্তু কাগজে ৪০টি লিখা থাকলেও গুণে পাওয়া গিয়েছে মাত্র ৩৪ পিচ। এছাড়াও হাসপাতালের রোগীর আসনে সিট নাম্বার লেখা না থাকাসহ নানা ধরনের অসঙ্গতি পাওয়া যায়। এছাড়াও একজন রোগী ৮টি ঔষধ লেখা থাকলেও ৩টা, ৪টা, পাঁচটি ঔষধ বাহির থেকে আনা হয়েছে। বিষয়টি জানতে চাইলে ওষুধগুলো সাপ্লাই না বলে জানান। কিছু ওষুধ আছে চিকিৎসক লিখেই নাই, অথচ রেজিস্টারে ইনচার্জ বা নার্সরা রেজিষ্টারে বিতরণ দেখিয়েছে। আমরা যে অভিযোগের প্রেক্ষিত্রে এসেছিলাম সেগুলোর সত্যতা পেয়েছি। যে সমস্যাগুলো পেয়েছি তা আমরা কমিশনের জমা দিবো, কমিশন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম