প্রতিদিনের মতো সাগরে মাছ ধরছিলো আবদুল গফুর। হঠাৎ জালে ভারী কিছু আটকে গেছে মনে হলো। তারপর শুরু জাল টানা। কিন্তু এতো বড় মাছ বোটে তুলতেও সমস্যা। তাই রশি দিয়ে বেঁধে অন্য ৪/৫ জন জেলের সহযোগিতায় সাগর সাবরাং মেরিন ড্রাইভের পাশের তীরে আনলো বিশাল আকৃতির শাপলা পাতা মাছ।
এ মাছকে বলা হয় সিং চোয়াইন। হাঙর প্রজাতির স্টিংরে পরিবারের এই মাছ বাংলাদেশের বন্য প্রাণী আইনে ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ।
মাছটির ওজন ২২ মন হতে পারে বলে জানিয়ে সাবরাং ইউনিয়নের মুন্ডার ডেইল এলাকার বাসিন্দা আবদুল গফুর জানান, মাছটি স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী সৈয়দ আলমের কাছে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
টেকনাফ সদর গোদালবিল এলাকার বাসিন্দা ও ক্রেতা সৈয়দ আলম জানান, শনিবার বিকেলে মাছটি মুন্ডার ডেইল নৌঘাটে আনার পর ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নেন তিনি। সাগরপাড়েই মাছটি কেটে সাইজ করে ভ্যানগাড়িতে করে গুদামে নেয়া হয়েছে। পরে এটাকে শুকিয়ে চট্টগ্রামের আড়তে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হবে।
টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, মাছটির নাম ‘সিং চোয়াইন । এটি বিরল প্রজাতির হওয়ায় বিদেশে রপ্তানি নিষিদ্ধ। পাশাপাশি, মাছটি পাহাড়ী ও সমতলের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর পছন্দের একটি খাবার হিসেবেও পরিচিত।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী নুর আহমদ বলেন, বিশাল আকারের শাপলা পাতা ধরার পর সাবরাং মুন্ডার ডেইল ফিশিং ঘাটে স্থানীয় মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। জেলেরা মাছটিকে রশি দিয়ে বেঁধে টেনে উপকূলে নিয়ে আসেন। ভিন্ন প্রকৃতির এই মাছটিকে একনজর দেখার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কসংলগ্ন সৈকত এলাকায় ঘুরতে আসা পর্যটকেরাও ভিড় জমান।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, শাপলা পাতা বা পাতা হাঙর ধরা, বিক্রি করা বন্য প্রাণী আইনে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। টেকনাফের সাবরাং মুন্ডার ডেইল ফিশিং ঘাটে যে মাছটি ধরা পড়েছে, সে সম্পর্কে আমরা অবগত নই।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল