‘ভাবনার শক্তিতে গড়ে ওঠা, গৌরবের লক্ষ্যে প্রতিযোগিতা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আন্তঃঅনুষদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনাল সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন অডিটোরিয়ামে সপ্তাহব্যাপী চলা প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এবারের প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭টি অনুষদ থেকে ৮টি দল অংশগ্রহণ করে। চার রাউন্ডের ট্যাবুলেশন শেষে সেরাদের বাছাই করে চারটি দল সেমিফাইনালে ওঠে। উত্তেজনাপূর্ণ কয়েকটি ম্যাচ শেষে ফাইনালে মুখোমুখি হয় কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ উন্নয়ন অনুষদের দল ‘থ্রি মাস্কেটিয়ার্স’ এবং বন ও পরিবেশ অনুষদের সংশপ্তক।
চূড়ান্ত পর্বে ‘এলডিসি থেকে উত্তরণ বিলম্বিকরণ জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী’ শীর্ষক সাংসদীয় মোশনে যুক্তি প্রমাণ বিশ্লেষণের বুদ্ধিদীপ্ত লড়াই উপহার দেয় দুই দলই। প্রতিটি বক্তব্যে ছিল তরুণ মেধার দীপ্ত উপস্থিতি। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতার পর বিচারকদের মূল্যায়নে বিজয়ের মুকুট পরে ‘থ্রি মাস্কেটিয়ার্স’ দল।
এতে ডিবেট অব দ্যা টুর্নামেন্ট হন সংশপ্তক দলের আন্না মারিয়া ফাল্গুনী এবং ডিবেট অব দ্যা ফাইনাল হন থ্রি মাস্কেটিয়ার্সের ফাতেমা তুজ জোহরা। ফাইনাল রাউন্ডে স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন গাকৃবি ডিবেটিং সোসাইটির সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান। বিচারকের আসনে ছিলেন সাবেক সহ-সভাপতি মোস্তাকিম বিল্লাহ, মাহবুব হাসান রিফাত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিফাতুল ইসলাম শাফি এবং ডুয়েট ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান।
পুরস্কার বিতরণী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ, রেজিস্ট্রার মো. আবদুল্লাহ্ মৃধা, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শরীফ রায়হান।
বিতর্ক প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে উপাচার্য উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন। এসময় তিনি বলেন, বিতর্ক চর্চা শিক্ষার্থীদের মধ্যে যুক্তিবোধ, যৌক্তিক সমালোচনামূলক চিন্তা, নেতৃত্বগুণ ও ইতিবাচক মনন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গাকৃবির শিক্ষার্থীরা আজ যে বুদ্ধিবৃত্তিক পরিপক্বতার পরিচয় দিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গৌরবের।
পরে উপাচার্য বিজয়ী দলসহ সকল অংশগ্রহণকারীর হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন।
বিডি প্রতিদিন/কামাল