কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় গবাদিপশুর মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি)। গত দুই সপ্তাহে উপজেলায় ভাইরাসজনিত এই রোগে অন্তত ১৫টি গরু মারা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষক, খামারি ও গৃহস্থরা। শীতের শুরুতে রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এবং ভ্যাকসিন না পাওয়ায় উদ্বেগে আছেন তারা।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বাতিসা ইউনিয়নের পাটানন্দী গ্রামের বাসিন্দা আবু হানিফের একটি ষাঁড় এবং বেলাল হোসেনের একটি গাভি লাম্পি স্কিন রোগে মারা গেছে। একই গ্রামের গৃহস্থ আনোয়ার হোসেন জানান, তার ৮টি গরুর মধ্যে একটি বাছুর রোগে আক্রান্ত হয়েছে। উপশমে ভ্যাকসিনের জন্য তিনি একাধিকবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে গেলেও কোনো ভ্যাকসিন পাননি।
চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার উত্তর ফালগুনকরা গ্রামে গত এক সপ্তাহে ফরিদ ভুঁইয়া, মিনার ভুঁইয়া, আবদুর রশিদ এবং দক্ষিণ ফালগুনকরা গ্রামে মকবুল হোসেন ও বাচ্চু মিয়ার একটি করে গরু মারা গেছে। অধিকাংশই ছিল বাছুর।
গরুর বাছুর হারানো ফরিদ ভুঁইয়া বলেন, ‘আমার দুটি গরু রোগে আক্রান্ত। সরকারিভাবে ভ্যাকসিন নেই। বাজারে গেলে ১০ গরুর ডোজ একসঙ্গে ২৭ শ টাকা চাই। গতকাল বাছুরটি প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পাওয়া যায়নি। কম্পাউন্ডারের মাধ্যমে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা অন্য ওষুধ নিতে বলেন। আজ বাছুরটি মারা গেল।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক আল–মামুন সাগর বলেন, ‘ভাইরাস এবং মশা–মাছির মাধ্যমে ল্যাম্পি স্কিন রোগ ছড়ায়। এ বছর সরকারিভাবে পরীক্ষামূলকভাবে মাত্র ৮৬ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, যা খুবই অল্প। উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে সমন্বিত একটি ভ্যাকসিনেশন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগির প্রতিটি ইউনিয়নে পৃথকভাবে গরু–বাছুরকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।’
বিডি-প্রতিদিন/সুজন