ককেটল বিস্ফোরণ ও গাছ কেটে সড়ক অবরোধের পর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর অংশে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে ১০ টা থেকে মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
এর আগে ভোর থেকে মহাসড়কের ভাঙ্গা ব্রিজ এলাকা থেকে ভূরঘাটা পর্যন্ত আটটি স্থানে সড়ক অবরোধ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর শেখ আহাদুজ্জামান জানান, বিস্তৃত এলাকাজুড়ে বড় আকারের গাছ পড়ে থাকায় অপসারণে কিছুটা সময় লেগেছে। একাধিক দল কাজ করে দ্রুত সড়ক পুরোপুরি পরিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে।
ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. এহতেশামুল ইসলাম বলেন, সড়কের বিভিন্ন স্থানে কেটে রাখা গাছের গুঁড়ি ও ককটেলের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এছাড়া কিছু এলাকায় বিস্ফোরণের প্রমাণ রয়েছে। বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভোরে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গোপালপুরে জড়ো হন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর গোলাম ফারুক। পরে কালকিনি পৌরসভার সাবেক মেয়র ও কালকিনি পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো.এনায়েত হোসেন হাওলাদার তার সাথে অংশ নেয়।
পরে তারা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও চালকরা।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে মাদারীপুর সদর ও কালকিনি ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিট সড়কে নামেন। পরে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।
বিডি প্রতিদিন/কামাল