বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে প্রথমে যদি এ দেশের কেউ বেঈমানি করে থাকেন, তিনি শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার দুপুরে বেনাপোল দিঘিরপাড় ঈদগাহ ময়দানে এক সংবর্ধনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেন, ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিব দেশের সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ‘বাকশাল’ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি পার্লামেন্টে ঘোষণা করলেন— দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ‘বাকশাল’ ছাড়া আর কোনো দল কেউ করতে পারবে না। সরকার নিয়ন্ত্রিত চারটি সংবাদপত্র ছাড়া দেশের সকল সংবাদপত্র নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে দেশের সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, অর্থনীতিবিদ, সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিদের কিছু বলার ছিল না। কিন্তু হাসিনা তার পিতার গড়া ‘বাকশাল’ বিলুপ্ত করে আবার আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করলেন।
তিনি বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ছাত্রদলের রাজনীতি শুরু করি। এরপর দলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি। কেন্দ্রীয় বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি না হয়েও অনেক কাজ করার সুযোগ পেয়েছি।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজের উন্নয়ন করেছি। এলাকার অনেক বেকার ছেলে-মেয়েদের সরকারি চাকরি দিতে সহযোগিতা করেছি। বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে একটি পয়সাও নেইনি।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে সঠিকভাবে রাজনীতি করার সুযোগ পাইনি। আমাদের খুন ও গুম করার সুযোগ খুঁজেছে ফ্যাসিবাদি আওয়ামী সরকার। আমাকে মিথ্যা হত্যা মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছে। এ সময় তিনি বলেন, আমি এমপি হলে যারা বিভিন্ন মামলা ও হামলার শিকার হয়েছেন তাদের পাশে থাকব। আমাদের এই সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান রোধ করব।
বেনাপোলের দিঘিরপাড় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন—শার্শা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক তাজ উদ্দিন তাজ, আইন বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, শার্শা উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আল মামুন বাবলু, শার্শা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইমদাদুল হক ইমদা, বেনাপোল পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান মির্জা, সদস্য সাইফুল ইসলাম আসাদ, মফিজুর রহমান পিন্টুসহ স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীবৃন্দ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল