মামলাজট কমাতে গ্রাম আদালত কার্যকর করতে জনসচেতনতা বাড়াতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় বলা হয়, গ্রাম আদালত কার্যকরভাবে পরিচালিত হলে উচ্চ আদালতের ওপর থেকে মামলাজট কমবে এবং বিচারপ্রার্থীরা স্বল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে সঠিক বিচার পেতে সক্ষম হবেন। প্রচলিত আদালতে একটি মামলা দায়েরের পর বছরের পর বছর কেটে গেলেও চূড়ান্ত রায় পেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। এতে বিচারপ্রার্থীদের সময়, অর্থ, শ্রম সবকিছুই অপচয় হয়। কিন্তু গ্রাম আদালত এ সমস্যা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এখানে সর্বোচ্চ ১২০ দিনের মধ্যেই অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হয়।
গতকাল সকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত গণমাধ্যকর্মীদের সঙ্গে গ্রাম আদালত ব্যবস্থা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ মতামত তুলে ধরেন বক্তারা। সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্প।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়েছে, গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় জেলার ৯টি উপজেলার ৭২টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে কাজ করছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় ৬ হাজার ১৬৬টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৯৬৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। নারী মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে ১ হাজার ৬৫১টি। এ প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে ৭ কোটি ৬৩ লাখ ৪৪ হাজার ৩৯৩ টাকা এবং প্রায় ১ হাজার ৫৭ শতক জমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। এ আদালতে অনধিক ৩ লাখ টাকা মূল্যমানের ফৌজদারি ও দেওয়ানি বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার বলেন, ‘দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যাতে কম সময় ও কম খরচে তাদের বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারে, সে জন্য গ্রাম আদালতের বিকল্প নেই। গণমাধ্যমের ইতিবাচক প্রচারণা এ বিষয়ে জনগণকে আরও সচেতন ও উৎসাহিত করবে।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক জাকিউল ইসলাম।