চট্টগ্রামে ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এইচ আইভি-এইডসে আক্রান্ত হন ৭৫ জন এবং মারা যান ১৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৭৪ শতাংশই পুরুষ। একই সময়ে নারী আক্রান্ত আছেন ২৭ শতাংশ। এই সময়ে মোট পরীক্ষা করা হয় ৩ হাজার ৭৪২ জনের নমুনা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের তত্ত্বাবধানে অ্যান্টি রিক্টোভাইরাল থেরাপি সেন্টারে (এআরটি) এইডস রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পরামর্শ দেওয়া হয়। আজ বিশ্ব এইডস দিবস। এইডস রোগ নিয়ে সবাইকে সচেতন করতে ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতি বছর এই দিনে দিবসটি পালিত হয়। এবার দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘সব বাধা দূর করি, এইডস মুক্ত সমাজ গড়ি।’ দেশে প্রথম এইচআইভি শনাক্ত হয় ১৯৮৯ সালে। দিবস উপলক্ষে আজ চমেক হাসপাতালে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
চমেক হাসপাতালের এআরটি সূত্রে জানা যায়, গত বছর এই সেন্টারে মোট পরীক্ষা করা হয় ৩ হাজার ৭৪২ জনের। এর মধ্যে এইডস পজিটিভ শনাক্ত হয় ৭৫ জন এবং নেগেটিভ শনাক্ত হয় ৩ হাজার ৬৯১ জন। এ সময়ে মারা যান ১৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১০ জন ও নারী তিনজন। মৃত্যু হওয়া রোগীরা চিকিৎসা কেন্দ্রে এসেছেন অত্যন্ত খারাপ অবস্থায়। তারা ওষুধ শুরুর আগেই মারা গেছেন। মিলিত হয়ে আক্রান্ত হয় ১৫ জন, স্বামী থেকে স্ত্রী আক্রান্ত হয় ১২ জন, যৌনকর্মী একজন, শিশু একজন, সাধারণ জনগণ ২৬ ও অভিবাসী ২০ জন। অন্যদিকে, আক্রান্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা ৫৩ জন, কক্সবাজারের বাসিন্দা চারজন, ফেনীর সাতজন, রাঙামাটির দুজন এবং কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি, লক্ষ্মীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নাটোর ও নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা একজন করে। তাছাড়া, অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত চমেক এআরটি সেন্টারে মোট ৮৩১ জন রোগী তালিকাভুক্ত হয়েছেন (সেন্টারে শনাক্ত এবং অন্যান্য কেন্দ্র থেকে রেফার্ডসহ)। এর মধ্যে পুরুষ রোগী ৫৪৯ জন ও মহিলা রোগী ২৭৬ জন। বর্তমানে ৬১৮ জন রোগী নিয়মিতভাবে এআরটি সেন্টার থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং ফলোআপে আছেন। চমেক হাসপাতালের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের সদ্য সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. রফিকুল মাওলা বলেন, এইচআইভি এইডস নিয়ে এখন আতঙ্ক হওয়ার কোনো কারণ নেই। শুরুর দিকে শনাক্ত হলে চিকিৎসায় এ রোগ থেকে প্রায় সুস্থ হওয়া যায়। এই রোগে আক্রান্তদের সরকারিভাবে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও আছে।