নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দক্ষ মেরিন প্রফেশনালদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা রয়েছে। এজন্য বাংলাদেশে মেরিন একাডেমির সংখ্যা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। দক্ষ মেরিনরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জাহাজে কর্মরত থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে, যা দেশের অর্থনীতিতে সরাসরি অবদান রাখছে।
রবিবার বরিশালে মেরিন একাডেমির ৪র্থ ব্যাচের ক্যাডেটদের শিক্ষা সমাপনী ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একজন মেরিন অফিসার প্রায় ৫০ জন অদক্ষ শ্রমিকের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকেন। তাই মেরিটাইম পেশাকে আরও জনপ্রিয় করা এবং প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাকে আধুনিকায়নের জন্য সরকার সচেষ্ট।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বরিশাল মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট ক্যাপ্টেন এস এম আতিকুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম, নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।
প্রশিক্ষণে সর্বোচ্চ মান অর্জন করায় তিন ক্যাডেটকে কমান্ড্যান্ট স্বর্ণ ও রৌপ্য পদক প্রদান করা হয়। নটিক্যাল বিভাগের সোহান ভুঁইয়া কমান্ড্যান্ট স্বর্ণপদক অর্জন করেন। রৌপ্য পদক পান নটিক্যাল বিভাগের মো. ফরহাদ হাসান এবং মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রিয়ান আহমেদ।
এ বছর বরিশাল মেরিন একাডেমির নটিক্যাল বিভাগে ৩০ জন এবং মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩১ জনসহ মোট ৬১ জন ক্যাডেট প্রি-সী কোর্স সম্পন্ন করে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেছে। সমাপনী অনুষ্ঠানের শুরুতে জমকালো কুচকাওয়াজ আয়োজন করা হয়, যেখানে ক্যাডেটরা প্রধান অতিথিকে সম্মান প্রদর্শন করেন।
বিডি-প্রতিদিন/সুজন