রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগে নিয়োগে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি করেছেন কয়েকজন চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থী। আজ মঙ্গলবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
তারা বলেন, নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও অর্থনীতিক লেনদেনসহ নৈতিক স্খলনে অভিযুক্ত অনেকে নিয়োগ পাচ্ছে বলে জেনেছি। যা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগের সুনাম, একাডেমিক পরিবেশ ও ন্যায়ভিত্তিক নিয়োগনীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। অবিলম্বে সুষ্ঠু নিয়োগ প্রদানের দাবি তোলেন তারা।
তাদের দাবি- নিয়োগ-সংক্রান্ত এসব অভিযোগের স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত-কমিটি অতি দ্রুত গঠন; তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নিয়োগ বা সুপারিশসমূহ সাময়িকভাবে স্থগিত; তদন্ত কমিটিতে অরাজনৈতিক, নীতিসংগত ও অভিজ্ঞ শিক্ষক অন্তর্ভুক্তকরণ; আঞ্চলিকতা, রাজনৈতিক পরিচয়, অর্থনৈতিক লেনদেন বা ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রার্থীকে অগ্রাধিকার শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা; ভবিষ্যতে যেকোনো নিয়োগে স্বচ্ছতার নিশ্চয়তা দিতে একটি ট্রান্সপারেন্ট রিক্রুটমেন্ট প্রটোকল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হোক।
সম্মেলনে বিভাগের চাকরিপ্রত্যাশী নুরুল ইসলাম, বদিউজ্জামান, আব্দুল মতিন, সুমাইয়া খাতুন, আবুবরক সিদ্দিকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি ড. জাহিদুল ইসলাম বলেন, কেবল মেধার উপর ভিত্তি করেই একজন প্রার্থী নিয়োগের ক্ষেত্রে বিবেচ্য হচ্ছে। অন্য কোনকিছু বিবেচিত হচ্ছে না। পুরো প্রক্রিয়াটা উপাচার্য নিজ তত্ত্বাবধান করছেন। লিখিত পরীক্ষা, ভাইভা এবং সিজিপিএ-পাবলিকেশন সমন্বয়ে একজন প্রার্থীর মেধাক্রম করা হচ্ছে। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা ভিত্তিহীন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল