হোয়ে ওয়াটার (ছানার পানি) ও সয়া দুধের সমন্বয়ে নতুন প্রজন্মের পুষ্টিকর ও পরিবেশবান্ধব কোমল পানীয় উদ্ভাবন করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের গবেষকরা। এই পানীয় একদিকে মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে, অন্যদিকে দুগ্ধ শিল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে করবে আরও কার্যকর।
রবিবার শেকৃবির প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত গবেষণা বিষয়ক কর্মশালায় প্রকল্পের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, “হোয়ে ওয়াটার ও সয়া দুধ এখনো জনপ্রিয় না হলেও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এই দুই উপাদানে তৈরি পানীয় স্বাস্থ্যকর, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব বিকল্প হিসেবে বাজারে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।”
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ। তিনি বলেন, “হোয়ে বেভারেজ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি পানীয়। এর স্বাদ ভালো, পুষ্টিমানও অনেক বেশি। তবে আরও স্বাস্থ্যসম্মত করতে চিনির মাত্রা কমিয়ে পিংক সল্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। পানি ব্যবহারে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং বোতলের লেবেলে পুষ্টিগুণের বিস্তারিত উল্লেখ করতে হবে।”
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন এনিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে সাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. এফ. এম. আমিনুজ্জামান বলেন, “হোয়ে ওয়াটার সাধারণত বর্জ্য হিসেবেই নষ্ট হয়ে যায়। এই পানি ব্যবহার করে স্বাস্থ্যকর পানীয় তৈরি হলে বর্জ্য কমবে এবং অর্থনৈতিকভাবে নতুন খাত তৈরি হতে পারে। গবেষণাগুলোকে পেটেন্টের আওতায় আনার উদ্যোগ চলছে।”
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যানবেজের অর্থায়নে “Development of next generation beverage based on whey water and soy milk” শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের মাধ্যমে এই উদ্ভাবন সম্পন্ন হয়।
বিডি-প্রতিদিন/সুজন