মাঠে গড়ানোর আগেই প্রথম টি-২০ ম্যাচ নিয়ে তুমুল আলোচনা। চায়ের টেবিলে ঝড়। আইরিশদের বিপক্ষে স্কোয়াড গঠন কোন ক্রাইটেরিয়ায় হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানেন না। ম্যাচ শুরুর আগের দিন মিডিয়াকে এমন কঠিন মন্তব্য করেন অধিনায়ক লিটন দাস। টাইগার অধিনায়ক দল গঠন নিয়ে সরাসরি কাঠগড়ায় দাঁড় করান নির্বাচক প্যানেলকে। অধিনায়কের প্রতিত্তোর দেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। দুই পক্ষের মন্তব্যে জেরবার ছিল বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজ। চট্টগ্রাম বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে গতকাল শুরু প্রথম টি-২০ ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের টপ অর্ডারের চার ব্যাটার। ওপেনার তানজিদ তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন ও সাইফ হাসানের ব্যর্থতার দিনে আলোকিত ব্যাটিং করেন তাওহিদ হৃদয়। চার টপ অর্ডার যেখানে একত্রে ১০ রান করেন ২৭ বলে। সেখানে হৃদয় একাই করেছেন অপরাজিত ৮৩ রান। হৃদয়ের লড়াকু ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ৩৯ রানে হেরে তিন ম্যাচ সিরিজে পিছিয়ে পড়েছে। ২০২৩ সালে দুই দল সর্বশেষ টি-২০ সিরিজ খেলেছিল। সেবার সিরিজ বাংলাদেশ জিতেছিল। তবে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। এ নিয়ে আইরিশ বাহিনীর বিপক্ষে টানা দুটি টি-২০ ম্যাচ হারল টাইগাররা। আগামীকাল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। ১৮২ রানের টার্গেটে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ২০ ওভারে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ১৪২ রান করেছে। হৃদয় ৫৫ ম্যাচ ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ রান করেন। ৫ নম্বরে নেমে হাফ সেঞ্চুরির ইনিংসটি ছিল ৫০ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৮৩ রানের। হৃদয়ের ইনিংসটি দিন শেষে আফসোসের জন্ম দিয়েছে। আরেক ব্যাটার ভালো ব্যাটিং করলে হয়তো জয়ের সম্ভাবনা থাকত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর ২০, জাকের আলির।
ফ্লাডলাইটে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস হেরে দারুণ ব্যাটিং করেছে আয়ারল্যান্ড। টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশের ধাক্কা সামলে স্বাগতিক বোলিং সামলে টি-২০ ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ দলগত স্কোর করেছে সফরকারীরা। হ্যারি টেক্টরের হাফ সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮১ রান করে আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশের বিপক্ষে দলটির আগের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২০১২ সালে বেলফাস্টে, ৬ উইকেটে ১৪৫ রান। চট্টগ্রামের দলটির আগের সর্বোচ্চ স্কোর ৩ উইকেটে ১২৬ রান, ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ। পল স্টার্লিংয়ের ৭৭ রানে ভর করে ম্যাচটি জিতেছিল আয়ারল্যান্ড। গতকাল দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন হ্যারি টেক্টর। তার ভাই টিম টেক্টর ওপেন করেছেন। আইরিশরা শুরু থেকে আগ্রাসি ব্যাটিং করেন। দুই ওপেনারের গড়ে দেওয়া ভিতে ৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে ৪০ রান করে। ১০ ওভারে দলটির সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৭৭ রান। ১৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১২৭ রান। শেষ ৫ ওভারে টেক্টরের হাফ সেঞ্চুরিতে ৫৪ রান করে। টেক্টর ৮৮ টি-২০ ম্যাচ ক্যারিয়ারে ৭ নম্বর হাফ সেঞ্চুরি করেন। ৪৫ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৯ রানের অপরাজিত ইনিংসটি তার ক্যারিয়ারসেরা।