সারাদেশব্যাপী সকল স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও নার্সিং–মিডওয়াইফারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে প্রতীকী শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছেন নার্স ও মিডওয়াইফরা। রবিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢামেক বাগান গেটসহ জেলা, উপজেলা, বিভাগ ও মহানগরের সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনে দুই ঘণ্টার এই কর্মসূচি চলে। একই সময়ে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও প্রতীকী শাটডাউন পালন করা হয়।
বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন–বিএনএ–এর সভাপতি ড. মো. শরিফুল ইসলাম ও মহাসচিব মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জুয়েলের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আশ্বাস পাওয়ার পরও গত ১৪ মাসে নার্সিং–মিডওয়াইফারি পেশাজীবীদের পেশাগত উন্নয়ন, প্রশাসনিক বৈষম্য নিরসন ও সংস্কার বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি হয়নি। বরং দীর্ঘদিনের স্বতন্ত্র নার্সিং প্রশাসন এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরকে বিলুপ্ত করে অন্য অধিদপ্তরের সঙ্গে একীভূত করার প্রচেষ্টা তাদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ তৈরি করেছে।
সংগঠন জানায়, চলমান ধারাবাহিক কর্মসূচির পরও সরকার বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ না পাওয়ায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে ২ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১০টা থেকে দেশব্যাপী লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন শুরু হবে। শাটডাউন চলাকালে সকাল, বিকাল ও রাত—সব শিফটে নার্স ও মিডওয়াইফরা প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।
তবে জরুরি বিভাগ, জরুরি ওটি, এনআইসিইউ, আইসিইউ, সিসিইউ, ডায়ালাইসিসসহ স্পর্শকাতর ইউনিটগুলো সচল রাখতে বিশেষ জরুরি সেবা স্কোয়াড গঠনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সংগঠনের নেতারা বলেন, ১৪ মাস ধরে আশ্বাসের পরও কাঙ্ক্ষিত পদক্ষেপ না নেওয়ায় যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তার দায়ভার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকেই নিতে হবে।
এর আগে ২৭ নভেম্বর বরিশাল ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত নার্স ও মিডওয়াইফরা একই দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেন। বিএনএ–এর জেলা শাখার উদ্যোগে সেখানকার বিভিন্ন হাসপাতাল কমপ্লেক্সের সামনে এসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল