দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘নির্বাচনি হলফনামায় প্রার্থীদের দেশের সম্পদের পাশাপাশি বিদেশের সম্পদের হিসাব বিবরণী দিতে হবে। আমরা সম্পদের বিবরণী চাচ্ছি, সেখানে বিদেশি সম্পদের হিসাব না দিলে তা অন্যায় হবে। পাশাপাশি অনুপার্জিত সম্পদ যাদের থাকবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
রবিবার সকালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আলমপুরে দুদকের বিভাগীয় কার্যালয়ের ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নির্বাচনে কৃষি সম্পত্তি ৫ দশমিক ২১ একর দেখিয়েছিলেন। পরবর্তীতে দুদকের অনুসন্ধানে ২৯ একরের সন্ধান পাওয়া যায়। সেসময় দুদক বিষয়টি তদন্ত করে বের করলেও ব্যবস্থা নেয়া যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিলেট সারা দেশের মধ্যে অন্যতম একটি ধনী জেলা। যেখানে ধন সম্পদ বেশি সেখানে দুর্নীতিও কিছুটা বেশি হতে পারে। অথচ সিলেট একটি পূণ্যভূমি। এই পূণ্যভূমিতে দুর্নীতি হওয়া উচিত নয়। এ ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা দুর্নীতি করলে আমাদের সন্তানরাও সেটাকে স্বাভাবিক হিসাবে ধরে নিবে। এটা দেশের জন্য সমাজের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সন্তানের কাছে ঘুষখোর হিসেবে পরিচিত হওয়ার চেয়ে লজ্জার কিছু হতে পারে না। সন্তানদের কাছে যাতে আমাদের মাথা হেঁট না হয়, সে বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।’
এদিকে, দুপুরে সিলেট নগরীর রিকাবিবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে দুদক চেয়ারম্যান দুদকের গণশুনানীতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। শুনানী শেষে তিনি ফের মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের।
এ সময় তিনি বলেন, ‘যারা সেবাদাতা তার মূলত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি। সরকারি যত প্রতিষ্ঠান আছে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সেবাগ্রহীতাদের কিছু অভিযোগ আছে। অভিযোগ দেওয়া অব্যাহত থাকবে, আমার চেষ্টা করে যাবো ক্রমাগতভাবে সে বিষয়গুলো সমাধানের। আমার নিয়মিতভাবে রেইড দিচ্ছি। আমাদের এই হস্তক্ষেপে কিছুটা তো উপকার হচ্ছে।’
দুদকের গণশুনানীতে ৭৩টি অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পাসপোর্ট অফিস ও জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষসহ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনেকে অভিযোগ করেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ/জামশেদ