রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে চামড়াশিল্প প্রদর্শনী-২০২৫। গতকাল আইসিসিবির এক্সপো ভিলেজে তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনের ১১তম আসর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শামস্ রহমান ও বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন। অনুষ্ঠানে চীন, ভারত ও পাকিস্তানের শিল্প সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রদর্শনীর আয়োজক প্রতিষ্ঠান এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশনস জানিয়েছে, প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান চীনসহ আটটি দেশের ২০০টি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য প্রদর্শন করছে। প্রদর্শনীতে রয়েছে চামড়াজাত পণ্য, চামড়ার জুতা, খেলার জুতা, ব্যাকপ্যাক ও বিভিন্ন কাঁচামাল উৎপাদক। সেই সঙ্গে রয়েছে চামড়াশিল্পে ব্যবহৃত সুইং, ফিউজিং, কনভেয়ার, লাস্টিং, ফিনিশিং মেশিন, স্কাইবিং, স্ট্যাম্পিংসহ অত্যাধুনিক মেশিন। চামড়াশিল্পে ব্যবহৃত আঠা, সিলিকা জেলসহ নানা ধরনের চামড়াজাত পণ্যও প্রদর্শিত হচ্ছে। ১১তম এ প্রদর্শনী চলবে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।
মেলায় কাউন্সিল ফর লেদার এক্সপোর্টস ইন্ডিয়া (সিএলই), পাকিস্তান ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (পিটিএ), ইন্ডিয়া ফুটওয়্যার কম্পোনেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ (ইফকোমা) চীনের গুয়াংডং সু-মেকিং মেশিনারি অ্যাসোসিয়েশনের (জিএসএমএ) পৃথক পৃথক প্যাভিলিয়ন থাকছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, পোশাক শিল্পের পর চামড়া শিল্পের মতো আর ভালো কোনো সেক্টর আছে বলে আমার মনে হয় না। বিশ্ববাজার এখন এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে যে, এটা আর এড়িয়ে যাওয়ার মতো কিছু নয়। বৈশ্বিক মান বজায় রাখতে আমাদের কারখানাগুলোকে সার্টিফিকেশনের পথে এগিয়ে নিতে সহায়তা করা অত্যন্ত জরুরি। এগুলো কোনো দূরের স্বপ্ন নয়। খুবই বাস্তব পদক্ষেপ, এর অনেকটি নিয়েই ইতোমধ্যে আলোচনা হচ্ছে। চ্যালেঞ্জ আছে, তবে আমি এই শিল্প নিয়ে ভীষণ আশাবাদী। সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, চামড়া শিল্পের রপ্তানি এখন ১ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার, কিন্তু সম্ভাবনা কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ বিলিয়ন। চীন এখনো বৈশ্বিক চামড়া বা জুতা শিল্পের কেন্দ্র। তাদের প্রযুক্তি ও আমাদের কাটিং-স্টিচিং দক্ষতা একসঙ্গে কাজে লাগাতে পারলে দ্রুত অগ্রগতি সম্ভব। কাঁচামালের আঞ্চলিক সহযোগিতা জরুরি। বন্ডেড গুদামের জটিলতা দূর করে মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলে কাঁচামাল মজুত, দক্ষ জনবল তৈরি এবং দ্রুত পণ্য পরিবহনই শিল্পকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে।