কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে জনি (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে ও পায়ের রগ কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মহিষকুি মাঠপাড়া সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জনি জামালপুর গ্রামের মৃত জাকির হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জামালপুর সীমান্তের শীর্ষ মাদক ও অস্ত্র চোরাকারবারি নাজিম উদ্দিনের ছেলে সোহান ও আমিরুল ইসলাম সুমনের লেবার হিসেবে মাদক পাচারে জড়িত ছিল জনি। মাদক পাচারের টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। গতকাল দুপুরে জনি জামালপুর যাওয়ার পথে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা সোহান ও সুমনের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ সশস্ত্র মাদক কারবারি হামলা চালায়। হামলকারীরা জনিকে কুপিয়ে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করে মহিষকুি মাঠপাড়া গ্রামের কবরস্থান সংলগ্ন মাঠে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান মুকুল বলেন, ‘বেলা দেড়টার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজন জনি ইসলামকে পায়ের রগ কেটে হত্যা করে।’ তিনি আরও জানান, জনি মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে স্থানীয়ভাবে অভিযোগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মাদক-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ হত্যা। ওসি মো. সোলায়মান শেখ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। এদিকে বগুড়ার নন্দীগ্রামে কুঠার দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী তয়েজ উদ্দিনের (৫০) বিরুদ্ধে। গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার থালতা বাঁশো গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূর নাম মোর্শেদা বেগম (৪৫)। ইউপি সদস্য শামছুর রহমান জানান, তয়েজ উদ্দিন দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মানসিক অসুস্থতার কারণেই তিনি এমন নৃশংস কাণ্ড ঘটিয়েছেন। নন্দীগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নুরুজ্জামান চৌধুরী জানান, লাশ ও হত্যায় ব্যবহৃত কুঠার উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত তয়েজ উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।