কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় গবাদিপশুর মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি)। গত দুই সপ্তাহে উপজেলায় ভাইরাসজনিত এ রোগে অন্তত ১৫টি গরু মারা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষক, খামারি ও গৃহস্থরা। শীতের শুরুতে রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এবং ভ্যাকসিন না পাওয়ায় উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার উপজেলার এলাকা ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বাতিসা ইউনিয়নের পাটানন্দী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আবু হানিফের একটি ষাঁড় এবং বেলাল হোসেনের একটি গাভি লাম্পি স্কিন রোগে মারা গেছে। গৃহস্থ আনোয়ার হোসেন জানান, তার আটটি গরুর মধ্যে একটি বাছুর রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তিনি একাধিকবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে গেলেও ভ্যাকসিন পাননি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক আল-মামুন সাগর বলেন, সরকারিভাবে ৮৬ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, যা খুবই অল্প। উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে সমন্বিত একটি ভ্যাকসিনেশন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগির প্রতিটি ইউনিয়নে পৃথকভাবে গরু-বাছুরকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।