ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ২০টি বেডের বিপরীতে বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৮৩ রোগী। শয্যা সংকটে বেশির ভাগ রোগী করিডর, বেডের পাশ ও মেঝেতে গাদাগাদি করে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক-নার্সদের। এদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে ডায়রিয়া রোগী আরও বাড়ার শঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত ৯টা পর্যন্ত নতুন ভর্তি হয় ২৬ রোগী। বর্তমানে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি রোগী ৮৩ জন। বেড সংকটে চাপ সামলাতে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিদিন ২০ জন রোগী হাসপাতালের খাবার পাচ্ছে। অধিকাংশ রোগীকে থাকতে হচ্ছে সহযোগিতার অপেক্ষায়। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন চিকিৎসকরা। এতে চাপ আরও বাড়বে বলেও জানিয়েছেন তারা। মানিক মিয়া নামে এক শিশুর বাবা বলেন, সকালে ডায়রিয়া আক্রান্ত ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। বেড না থাকায় মেঝেতে কম্বল বিছিয়ে আছে আমার ছেলে ও স্ত্রী। শহরের পৈরতলার এলাকার জহির বলেন, রাতে হাসপাতালে ভর্তি করেছি ছেলেকে। কিন্তু বেড নেই। বারান্দাতেও কম্বল বিছিয়ে থাকতে হচ্ছে তাও গাদাগাদি করে। শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আকতার হোসাইন বলেন, শিশু ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। চাপ সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তার পরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রতন কুমার ঢালী বলেন, ওষুধ সাপ্লাই পর্যাপ্ত রয়েছে। তবে কিছু আইটেমের ঘাটতি আছে। যেগুলো রোগীদের বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। শীত বাড়ার সঙ্গে রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।