লালমনিরহাটে ধরলা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এক দিনে ১৩ বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় বলেন, ‘ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।’ তবে অস্থায়ীভাবে ভাঙন রোধের চেষ্টা না করে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। স্থানীয়রা বলছে, নদীটির উভয় তীরে ১১ কিলোমিটারজুড়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন। পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেললেও ভাঙন রোধ হচ্ছে না। প্রতিদিনই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, আবাদি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। জিও ব্যাগ নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে ধরলা নদী। বর্তমানে নদীটিতে দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাঙন। ওই ইউনিয়নের শিবেরকুটি, বাসুরিয়া, কুরুল, ফলিমারীসহ ১০ গ্রামের ফসলি জমি, বসতভিটাসহ বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে ওইসব গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর। ফলে দুশ্চিন্তায় রয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
নদীপারের বাসিন্দা শামসুর রহমান, এনামুল হক বলেন, ‘নদীতে আমাদের বসতভিটা ও আবাদি জমি চলে গেছে। আমরা ইতোমধ্যে পাঁচবার বাড়ি সরিয়েছি। এখন সড়কের ধারে বসবাস করছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করলেও স্রোত আর বাতাসের কারণে অস্থায়ীভাবে এ ভাঙন রোধ কাজে আসছে না। ভাঙন থেমে নেই।’
ধরলা পারের হাজেরা বেওয়া আক্ষেপ নিয়ে জানান, ‘কি বাড়ে দীর্ঘদিন থাইকা শুধু তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা শুনেই আসিচ্ছি। ধরলা নদীর কী হবে? আমরা আর ত্রাণ চাই না, চাই স্থায়ী সমাধান। তাহলে আমাদের আবাদি জমিসহ বসতবাড়ি ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পাবে।’ লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় বলেন, ‘ধরলার ভাঙনকবলিত ১১ কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ীভাবে কাজের জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেটি পাস হয়ে এলে আমরা কাজ শুরু করব।’