চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের অ্যান্ডোক্রাইনোলজি বিভাগটি ২০১৪ সালে ১৬টি শয্যা নিয়ে চালু হয়। প্রতিষ্ঠার প্রায় ১২ বছর পার হলেও এখনো সেই ১৬টি শয্যাই (৮টি পুরুষ, ৮টি মহিলা) রোগীদের ভরসা। সৌভাগ্যবান রোগীরা এই শয্যায় চিকিৎসা নিতে পারলেও বঞ্চিত হন অনেকেই। তা ছাড়া, সংকটাপন্ন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য নেই আইসিইউ, এইচডিইউ। নেই আউটডোর মেডিকেল অফিসার। চমেক হাসপাতালের অ্যান্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বিভাগে ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বিভাগে রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করে ৫২৩ জন এবং বহির্বিভাগে চিকিৎসা গ্রহণ করে ৮ হাজার ৬৪০ জন। একই সময়ে ২০২৩-২৪ সালে অন্তর্বিভাগে চিকিৎসা গ্রহণ করে ৫২৪ এবং বহির্বিভাগে চিকিৎসা গ্রহণ করে প্রায় ৭ হাজার রোগী। প্রতিনিয়তই ডায়াবেটিস রোগী বাড়লেও বাড়েনি চিকিৎসা ব্যবস্থা। ফলে রোগীদের নিয়মিতই দুর্ভোগ মাড়িয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। পড়তে হয় ভোগান্তিতে। তা ছাড়া, আউটডোর মেডিকেল অফিসার না থাকায় বহির্বিভাগে নিয়মিত রোগী দেখা সম্ভব হয় না। রোগীদের পড়তে হয় সংকটে।
বর্তমানে সপ্তাহে রবিবার ও বুধবার দুই দিন বহির্বিভাগে রোগী দেখা হয়। এখানে দৈনিক ১০০-১২০ জন রোগী চিকিৎসা নেন। সংকট আছে চিকিৎসকের। বর্তমানে একজন অধ্যাপক, দুজন সহযোগী অধ্যাপক, একজন সহকারী অধ্যাপক, একজন রেজিস্ট্রার, একজন সহকারী রেজিস্ট্রার ও সাতজন সিনিয়র স্টাফ নার্স দিয়ে বিভাগটি পরিচালিত হচ্ছে।
চমেক হাসপাতালের অ্যান্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ফারহানা আক্তার বলেন, বিভাগে সমস্যার শেষ নেই। তবুও আমরা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবাটা দিতে চেষ্টা করছি। বিভাগে বেশি জরুরি আউটডোর মেডিকেল অফিসার। মেডিকেল অফিসার না থাকাতে বহির্বিভাগে প্রতিদিন রোগী দেখা সম্ভব হচ্ছে না। রেজিস্ট্রার ও সহকারী রেজিস্ট্রারকে বিভাগের কাজ বাদ দিয়ে বহির্বিভাগের রোগী দেখতে হয়। প্রতিদিন বহির্বিভাগের রোগী চিকিৎসা পেলে অনেক রোগী সেবা পেত। তিনি বলেন, এখন নিয়মিতই ৪০ বছরের কম বয়সিরা ডায়াবেটিসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সঙ্গে আছে হঠাৎ চেকআপ করতে গিয়ে শনাক্ত হওয়া রোগী। তাই সবাইকে অবশ্যই পরিমিত খাবার গ্রহণ, ওজন কম রাখা, কর্মস্থলে স্বাস্থ্যবান খাবার খাওয়া, ফাস্টফুড বর্জন করা, ব্যায়াম করা জরুরি। ফাস্টফুড গ্রহণ করাসহ নানা কারণে এখন তরুণরা বেশি মাত্রায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে।