বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে পিরোজপুরে প্রায় ৩ শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গতকাল পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের খানাখুনিয়ারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও হারান উল্লাহ ফকির (রহ.) ট্রাস্টের আয়োজনে স্থানীয় খানাখুনিয়ারী প্রাইমারি স্কুলে বিনামূল্যে এ চক্ষু চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম মণ্ডল।
বসুন্ধরা আই হসপিটালের ডা. মজুমদার গোলাম রাব্বীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল দিনব্যাপী স্থানীয় এলাকাবাসীর চোখ পরীক্ষা করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের ব্যবস্থাপত্রের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রদান করেন।
বসুন্ধরা আই হসপিটালের ক্যাম্প অর্গানাইজার আবু তৈয়ব বলেন, বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সারা দিন প্রায় ৩ শতাধিক রোগী দেখেছি। এর ভিতরে আমরা ৫০ জন রোগীকে চোখের অপারেশনের জন্য বাছাই করেছি। পরবর্তীতে তাদের ঢাকা নিয়ে ফ্রি অপারেশনসহ তাদের থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
চিকিৎসা নিতে আসা ৮০ বছর বয়সি মোতাল্লেব আকন জানান, আমার চোখে কয়েকদিন ধরে ঝাপসা দেখা শুরু হয়েছে। ভেবেছি গোপালগঞ্জ গিয়ে দেখাব। পরে শুনলাম বসুন্ধরা হাসপাতালের ঢাকার ডাক্তার এখানে আসবেন। তাই এখানে ফ্রি তাদের ডাক্তার দেখিয়েছি। তারা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে আমার চোখ পরীক্ষা করে ব্যবস্থাপত্রসহ চোখের দুটি ড্রপ দিয়েছে। পরবর্তীতে ঢাকায় নিয়ে চোখের অপারেশন করাবে।
ফ্রি চিকিৎসা পাওয়া শিরিন বেগম জানান, ফ্রি চিকিৎসা দেওয়া হবে এমন মাইকিং শুনে আজকে ডাক্তার দেখাতে এসেছি। আমার চোখ পরীক্ষা করে কয়েকটা ওষুধ দিয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসুন্ধরা গ্রুপ যে মানের চিকিৎসাসেবা মানুষের জন্য দিচ্ছে তা এলাকার জন্য অত্যন্ত উত্তম কাজ। বসুন্ধরা গ্রুপের মতো যদি অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষের সেবায় এগিয়ে আসে তাহলে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা আরও লাঘব হবে। শেষে তিনি বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।