বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, জুলাই গণ অভ্যুত্থানে বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বেশি শহীদ হয়েছেন। অথচ কিছু লোকের কথায় মনে হয় যেন তারাই সব করেছে। ভাই ভিতরে ভিতরে এতই যখন করেছেন তখন বাইরে আসার সাহস পাননি কেন? গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী গণ আন্দোলনে শহীদ ডা. মিলন দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ’৯০-এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডাকসু ভিপি আমান উল্লাহ আমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। সভা পরিচালনা করেন সাবেক ডাকসু জিএস ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন। এতে আরও বক্তব্য দেন ’৯০-এর সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতারা।
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, অতীতেও আমাদের স্বৈরাচারবিরোধী লড়াইকে বিভ্রান্ত করার অনেক চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু তা সফল হয়নি। একবার ভাবুন, এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন যখন অত্যন্ত শক্তিশালী, সেই সময়ে জাতির সঙ্গে বেইমানি করে দুটি রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগ এবং জামায়াতে ইসলামী তখন বেইমানী করে এরশাদের সঙ্গে নির্বাচনে গিয়েছিল। জুলাই গণ অভ্যুত্থানে অর্জিত বিজয়কেও বিভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার নানা অপচেষ্টা চলছে। সে অপচেষ্টাকে মোকাবিলা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিএনপিই একমাত্র দল, যাদের দীর্ঘ সময় রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে। জনগণের সমর্থন পেলে সেসব অভিজ্ঞতা জনকল্যাণে কাজে লাগানো হবে। একই সঙ্গে অতীতের ভুলগুলো থেকে পাওয়া শিক্ষা কাজে লাগানো হবে।