বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। যেখানে ইন্টারনেট বন্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষায় বেশ কিছু মৌলিক ও যুগোপযোগী পরিবর্তনের প্রস্তাব আনা হয়েছে।
গতকাল সকালে এ খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও সাধারণ মানুষের অবগতি এবং মতামত গ্রহণের উদ্দেশ্যে খসড়াটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হয়েছে। প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা আরও জোরদার করার লক্ষ্যে একাধিক ধারা সংশোধন করা হয়েছে। এর অন্যতম হলো ইন্টারনেট বন্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব। সংশ্লিষ্টরা জানান, খসড়া অধ্যাদেশের ওপর মতামত পাঠানো যাবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। মতামত পাঠাতে হবে ইমেইলে (secretary@ptd.gov.bd) বা ডাকযোগে সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা ঠিকানায়।
এ প্রসঙ্গে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘এনটিএমসি বিলুপ্ত, ডিজিএফআইয়ের নজরদারি ক্ষমতা আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে করা, জাতীয় পর্যায়ে টেলিকম লাইসেন্সিং মন্ত্রিপরিষদের একটি কমিটিতে নেওয়া, ছোট লাইসেন্স বিটিআরসির অধীনে রাখার মতো মৌলিক পরিবর্তন সব প্রস্তাবিত টেলিকম আইনের খসড়া প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি ইন্টারনেট বন্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে।’
অধ্যাদেশের খসড়ার ৯৭ ধারায় ইন্টারনেট বন্ধ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘এই আইন বা বর্তমানে বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন অবস্থাতেই টেলিযোগাযোগ সংযোগ, টেলিযোগাযোগসংশ্লিষ্ট যে কোন সেবা এবং ইন্টারনেট বন্ধ করা যাইবে না, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি বা সীমিতকরণ করা যাইবে না।’