শব্দের জাদুকর অস্কারজয়ী স্যার টম স্টপার্ডের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
রবিবার এক প্রতিবেদনে তার মৃত্যুর খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
‘শেক্সপিয়ার ইন লাভ’-এর জন্য অস্কার ও গোল্ডেন গ্লোবজয়ী এই কিংবদন্তির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানী ক্যামিলা।
তারা এক বিবৃতিতে বলেন, তিনি আমাদের সময়ের সেরা লেখকদের একজন। অসাধারণ প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও তিনি সবসময় বিনয়ী ছিলেন। যেকোনো বিষয়কে তিনি কলমের জাদুতে বদলে দিতে পারতেন।
‘রোজেনক্র্যান্টজ এবং গিল্ডেনস্টার্ন আর ডেড’ এবং ‘দ্য রিয়েল থিং’–এর মতো নাটকে দার্শনিক, রাজনৈতিক ও মানবিক বিষয়কে ব্যতিক্রমী রসিকতার সঙ্গে তুলে ধরেছেন স্টপার্ড।
এক বিবৃতিতে তার এজেন্সি ইউনাইটেড এজেন্টস জানিয়েছে, টমকে মনে রাখা হবে তার কাজের উজ্জ্বলতা, মানবিকতা, বুদ্ধিদীপ্ততা এবং ইংরেজি ভাষার প্রতি অগাধ ভালোবাসার জন্য। রক আইকন স্যার মিক জ্যাগার তাকে বলেছেন নিজের প্রিয় নাট্যকার, আর প্রকাশনা সংস্থা ফেবার বুকস জানিয়েছে, গত ৬০ বছরের অন্যতম সেরা মেধাবী নাট্যকার ছিলেন টম স্টপার্ড।
১৯৩৭ সালে তৎকালীন চেকোস্লোভাকিয়ায় টমের জন্ম তখন তার নাম রাখা হয় টমাস স্ট্রাউসলার। হিটলারের নাৎসি বাহিনীর ভয়ে তার পরিবার সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যায়।
সেখানে জাপানি বন্দিশিবিরে তার বাবা মারা যান। তিনি, তার মা ও ভাই জাপানি সেনাদের আক্রমণের আগেই অস্ট্রেলিয়া হয়ে ভারতে চলে আসেন। ভারতে তার মা মেজর কেনেথ স্টপার্ডকে বিয়ে করেন। এরপর তারা চলে যান ইংল্যান্ডে। সেখান থেকেই স্টপার্ডের নতুন পরিচয়, নতুন জীবন।
১৯৫৪ সালে ব্রিস্টলে সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন স্টপার্ড। পরে নাট্যসমালোচক হন এবং রেডিও-টিভির জন্য লেখালেখি শুরু করেন। কিন্তু তার বড় ব্রেক আসে ১৯৬০-এর দশকে। এডিনবরা ফ্রিঞ্জ ফেস্টিভ্যালে ‘রোজেনক্র্যান্টজ এবং গিল্ডেনস্টার্ন আর ডেড’ মঞ্চস্থ হওয়ার পরই বদলে যায় সবকিছু। নাটকটি পরে ন্যাশনাল থিয়েটার এবং ব্রডওয়েতেও সাড়া ফেলে। এরপর একের পর নাটক দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। পেয়েছেন একাধিক পুরষ্কার যার মধ্যে অস্কার অন্যতম।
বিডি প্রতিদিন/কেএ