প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশনের সহ-মালিক অ্যান জাকাপং জাকরাজুততিপের বিরুদ্ধে থাইল্যান্ডের একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
ব্যাংকক সাউথ ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাকাপং জাকরাজুততিপকে ২০২৩ সালে প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত করে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার ব্যাংককের আদালতে তার নির্ধারিত হাজিরা ছিল। তবে তিনি কোনো পূর্ব নোটিশ ছাড়াই অনুপস্থিত ছিলেন। আদালত তার অনুপস্থিতিকে পলায়ন ঝুঁকি হিসেবে গণ্য করে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আদালত ২৬ ডিসেম্বর শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছে।
আদালতের বিবৃতি অনুসারে, ২০২৩ সালে কোম্পানির কর্পোরেট বন্ড বিক্রির মাধ্যমে রাউইওয়াত মাছামাদোলকে প্রতারিত করার অভিযোগে অ্যান এবং তার কোম্পানি জে কে এন গ্লোবাল গ্রুপ পাবলিক কোং লিমিটেডের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। রাউইওয়াত দাবি করেছেন, এই বিনিয়োগের ফলে তিনি ৯ লাখ ৩০ হাজার ৩৬২ ডলার লোকসানের শিকার হয়েছেন।
আর্থিকভাবে সমস্যাগ্রস্ত জে কে এন ২০২৩ সাল থেকে বিনিয়োগকারীদের অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হয়। ২০২৪ সালে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্করাপসি কোর্টে ঋণ পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, তাদের মোট প্রায় ৯৩ মিলিয়ন ডলার ঋণ রয়েছে।
জে কে এন ২০২২ সালে আইএমজি ওয়ার্ল্ডওয়াইড এলএলসির কাছ থেকে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার স্বত্ব অধিগ্রহণ করেছিল। পরে ২০২৩ সালে, তারা মেক্সিকান ব্যবসায়ী রাউল রোচা ক্যান্টুর মালিকানাধীন লেগ্যাসি হোল্ডিং গ্রুপ ইউএসএ’র কাছে মিস ইউনিভার্সের ৫০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে।
ট্রান্সজেন্ডার নারী অ্যান জাকাপং কোম্পানির ২০২৩ সালের আর্থিক বিবৃতি জাল করার অভিযোগে থাইল্যান্ডের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক অভিযুক্ত হন। গত জুন মাসে কোম্পানির সকল পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তবে তিনি এখনো এর বৃহত্তম শেয়ারহোল্ডার রয়ে গেছেন।
তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তিনি এই মাসের শুরুতে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায়ও উপস্থিত হননি।
এই বছরের প্রতিযোগিতা বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত ছিল। থাই আয়োজক মেক্সিকোর ফতিমা বোশ ফার্নান্দেজকে (যিনি ১৯ নভেম্বর মিস ইউনিভার্স ২০২৫ মুকুট জয় করেন) তীব্র ভর্ৎসনা করেন। দুজন বিচারকের প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ান। ঘটনা রয়েছে। একজন বিচারক প্রতিযোগিতায় কারচুপির ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। এছাড়া, ইভেন্টের প্রচারণায় অবৈধ অনলাইন ক্যাসিনোর প্রচারণার অভিযোগ নিয়ে থাই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছিল।
সূত্র: এবিবিসি নিউজ
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল