ইউক্রেন কোনোভাবেই রাশিয়ার কাছে নিজেদের ভূখণ্ড হস্তান্তর করতে চাইছে না। আর এ জন্যই হোয়াইট হাউসের কাছে একটি সংশোধিত শান্তি পরিকল্পনা উপস্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কিয়েভ। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আবারও ভূখণ্ড সমর্পণ করার বিষয়টি বাতিল করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনীয় বা আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে তার সেই অধিকার নেই।
গত সোমবার ইউরোপীয় এবং ন্যাটো নেতাদের সাথে বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন। ইউক্রেনের জন্য বড় ধরনের ছাড়ের শর্তযুক্ত একটি শান্তি চুক্তি যুক্তরাষ্ট্র যাতে সমর্থন না করে, তার জন্য সম্মিলিতভাবে চাপ দেওয়ার অংশ ছিল এই বৈঠক। মিত্ররা আশঙ্কা করছেন, এমন চুক্তি ইউক্রেনকে ভবিষ্যতে আক্রমণের জন্য অরক্ষিত করে তুলবে।
এদিকে, রাশিয়ার ড্রোন হামলায় উত্তর-পশ্চিম ইউক্রেনের সুমি শহর রাতভর বিদ্যুৎবিহীন ছিল।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তার দল মঙ্গলবারের মধ্যেই আমেরিকানদের কাছে একটি নতুন প্রস্তাব পাঠাতে পারে।
ভূখণ্ড সমর্পণের বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া চাইছে যে আমরা ভূখণ্ড ছেড়ে দিই, কিন্তু আমরা কিছুই দিতে চাই না। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনীয় আইন, আমাদের সংবিধান এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে আমাদের এটা করার কোনো আইনি অধিকারও নেই। কোনো নৈতিক অধিকারও নেই। জেলেনস্কি দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন, ইউক্রেনের সীমান্তে যেকোনো পরিবর্তনকে একটি গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাশিয়ার চিফ অফ জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ বলেছেন, রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনের সম্মুখ সমান্তরাল রেখা বরাবর এগিয়ে যাচ্ছে এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পোকরভস্ক শহরের কাছে মিরনোহরাডকে লক্ষ্যবস্তু করছে। রাশিয়া দাবি করছে, তারা পোকরভস্ক দখল করেছে, যা দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক নিয়ে গঠিত ইউক্রেনের ডনবাসের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ক্ষেত্রে পুতিনকে আরও কাছাকাছি নিয়ে যাবে। ইউক্রেন এই দাবি অস্বীকার করেছে।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল