আশার বেলুন ফুলিয়ে মাঠে নেমেছিলেন পেপ গার্দিওলা। বুধবার স্প্যানিশ কোচের ব্যক্তিগত মাইলফলকের দিন। চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানেজার হিসেবে শততম ম্যাচের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। অথচ গার্দিওলার দিনটাই মাটি করে দিলেন ওমর মারমুশ ও প্যাট্রিক শিকরা।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত দুইটায় জার্মান জায়ান্ট বায়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে ২–০ গোলে হেরেছে ম্যানচেস্টার সিটি। চ্যাম্পিয়নস লিগে ৫ ম্যাচে প্রথম হার দেখল সিটিজেনরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই জমে ওঠে আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ। কাঙ্ক্ষিত গোল আসে ২৩তম মিনিটে। মিডফিল্ড থেকে আসা বল সিটির ডি-বক্সে পেয়ে যান ক্রিস্টিয়ান কোফানে। তিনি পাস দেন আলেহান্দ্রো গ্রিমালদোকে। স্থির হওয়া বল বাঁ-পায়ে বুলেট গতির শট করেন স্পেন লেফট উইঙ্গার । তাতেই ১–০ গোলে এগিয়ে যায় জার্মান জায়ান্টরা।
৪৫তম মিনিটে সমতা ফেরানোর দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন তাজিনী রেইন্ডার্স। খুব কাছ থেকে অনেকটা গোলরক্ষক বরাবর শট নেন নেন সিটির এই ডাচ মিডফিল্ডার। পিছিয়ে থাকার বিরতিতে যায় সিটি।
তিনটি পরিবর্তন এনে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন সিটি কোচ। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লিড দ্বিগুণ করে অতিথিরা। ৫৪ মিনিটে মাজার ভাসানো ক্রস বক্সে পৌঁছাতেই প্যাট্রিক শিক ম্যানসিটির ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে পোস্টের নিচের কোণে হেড দিয়ে গোল করেন। এটাই ছিল সিটির কফিনে শেষ পেরেক।
৬৫তম মিনিটে হায়ান শের্কি ও হলান্ডকে বদলি নামায় ম্যানসিটি। এরপর বাড়ে স্বাগতিকদের আক্রমণ। সুযোগও আসে বেশ কিছু কিন্তু লেভারকুসেনের রক্ষণের প্রতিরোধ ভাঙতে পারেনি সিটি। চ্যাম্পিয়নস লিগে ৫ ম্যাচে ৩ জয়, একটি করে ড্র ও হারে ম্যানচেস্টার সিটির অবস্থান পয়েন্ট টেবিলে ৬ নম্বরে। বায়ার লেভারকুসেন টানা দ্বিতীয় জয়ে অবস্থান করছে ১৩ নম্বরে। শীর্ষে আছে বায়ার্ন মিউনিখ, যারা এখনও কোনো ম্যাচ হারেনি।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম